শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ ইমরান হোসেন ইমু
দেশে এসে পৌছেছে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাহী জাহাজ, ‘এক্সিলেন্স’। আজ দুপুরে মহেশখালিতে এসে পৌছায় এই জাহাজ। জাহাজে এক লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস আছে।
বাংলাদেশে এই প্রথম এলএনজি আমদানি করা হল।
সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সমুদ্রে যথাযথ গভীরতা না থাকায় জাহাজ উপকূল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে রাখা হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ জ্বালানি বিভাগের প্রতিনিধিরা আগামী ২৯শে এপ্রিল মহেশখালিতে জাহাজ পরিদর্শনে যাবেন।
গত ১৪ই এপ্রিল কাতার থেকে বাংলাদেশের রওয়ানা দেয় এই জাহাজ। এই জাহাজ ৯০৯ ফুট লম্বা আর ১৪৪ ফুট জওড়া।
আমেরিকার কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি তরল গ্যাসকে স্বাভাবিক মাত্রায় এনে পাইপে সরবরাহ করবে। তাদের সাথে ১৫ বছরের চুক্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এত বড় জাহাজ এরআগে কোন মালামাল নিয়ে আসেনি। এটা সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ।
জাহাজ উপকূল থেকে দূরে অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। যেখানে তরল গ্যাসকে স্বাভাবিক বায়বীয় আকারে আনা হবে।১৫ বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ ভাড়া পাবে। এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।
গ্যাসের তাপমাত্রা কমিয়ে হিমাঙ্কের নিচে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা হয়। এতে গ্যাস তরল হয়ে যায়। এই তরল অবস্থায় বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এখন তা আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে পাইপে সরবরাহ করা হবে।গ্যাসের এই রূপান্তর করা হবে জাহাজেই।এই রূপান্তর করতে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করা হবে।
গ্যাস সরবরাহ করার জন্য মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপ করা হয়েছে। এখন আনোয়ারা থেকে সীকাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপ নির্মাণের কাজ চলছে। সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাইপ তৈরির না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস শুধু চট্টগ্রামে দেয়া হবে।